যতদিন কেমিক্যাল আছে, পুরান ঢাকার মানুষকে পুড়েই মরতে হবে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২২, ২০২০ , ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। সরকারি হিসেবে, গেলো ১৮ বছরে দেশে প্রায় আড়াই লাখ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার নিরীহ মানুষ। আর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। তাই প্রশ্ন উঠেছে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে। সমস্যা কোথায়? অসচেতন নাগরিক নাকি সেবা সংস্থাগুলোর দায়িত্বে অবহেলা? ২০১০ এ নিমতলী আর ২০১৯ এ চুড়িহাট্টা। দাহ্য পদার্থের গোডাউনে আগুন লেগে শুধু পুরান ঢাকার এই দুই জায়গা পুড়েছিলো কমপক্ষে ২০০ টি তাজা প্রাণ।
এরপর এফআর টাওয়ার কিংবা রাজধানীর ইস্কাটনের দিলু রোডের আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড। সবশেষ রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় অগ্নিকাণ্ডে ৫ মাসের মাথায় পুড়ে মারা যান সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু ও তার একমাত্র সন্তান।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের পর কোন ব্যবস্থা না নেয়াতেই বার বার আগুনের ঘটনা ঘটছে। পুরানো ঢাকায় গিয়ে দেখা যায়, কোন ধরনের সংস্কার ছাড়াই চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানসনের নিচতলায় নতুন করে দোকান করা হয়েছে। বন্ধ হয়নি আশপাশের ভবনের নিচে গুদামের ব্যবসাও। স্থানীয় একজন বলেন, যতদিন কেমিক্যাল আছে, ততদিন পুরান ঢাকার মানুষকে পুড়েই মরতে হবে।
নাকের ডগায় এসব চললেও একে অপরকে দোষারোপ করে দায় সারছে সেবা সংস্থাগুলো। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকশা না মানা এবং যথাযথ তদন্ত না হওয়ায় অগ্নি দুর্ঘটনা কমছে না।
অগ্নি নিরাপত্তা বিশ্লেষক অধ্যাপক মো. মাকসুদ হেলালী বলেন, নিমতলীর পর একটা না অনেক তদন্ত হয়েছে। পরবর্তী নকশা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে কোন না কোনভাবে এটা বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজউক উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ পরিচালক মো. মোবারক হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন যখন সেখানে যাচ্ছে, সেখানে তারা চেক করে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও যাচ্ছে।