আজকের দিন তারিখ ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনোদন যতদিন বেঁচে আছি, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুর খোঁজ রাখবো: বর্ষা

যতদিন বেঁচে আছি, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুর খোঁজ রাখবো: বর্ষা


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৩১, ২০২২ , ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া শিশুকে আর্থিক সহায়তা করেছেন চিত্র নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, দূর থেকে হলেও ওই নবজাতকের খোঁজ নিবেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টারে ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আয়োজিত ‘দিন দ্য ডে’র বিশেষ শো-এ সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বর্ষা বলেন, ‘আমি নিজে থেকেও অনেক সময় চেষ্টা করি সামাজিক কাজে এগিয়ে আসার জন্য। অনেক সময় নিজে থেকে অনেক সামাজিক কাজ করা হয়। কিন্তু অনেক কিছু আসলে বলা হয় না। সম্প্রতি ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গর্ভবতী মায়ের পেট ফেটে বাচ্চা বের হয়ে যায়। আমি যখন নিউজটা দেখলাম, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছিল বাচ্চাটি যেন আমারই। আমার যদি কোনোদিন মেয়ে হয় এমনি হবে। বিষয়টি দেখার পর ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করি বাচ্চাটা কেমন আছে, কোনো কিছু লাগবে কি না। তিনি জানিয়েছেন ভালো আছে এবং শিশুটির জন্য একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলেছেন। বাচ্চাটার ভালো চিকিৎসার জন্য তখন সহায়তা করেছি।’ নিয়মিত শিশুটির খোঁজ রাখবেন জানিয়ে বর্ষা বলেন, কোনো সময় ফ্রি হলে বাচ্চাটাকে দেখতে যাবো। রাতে নিউজ দেখলাম, ওকে ঢাকার আজিমপুরে নিয়ে আসছে। আমি সেখানে যাবো, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলব। যতদিন আমি বর্ষা বেঁচে আছি, বাচ্চাটাকে দেখাশোনা করবো, দূর থেকেও হলেও।’ এর আগে শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই নবজাতকের ছাড়পত্র দিলে গাড়িযোগে ঢাকার আজিমপুর শিশু নিবাসে পাঠানো হয়। ১৬ জুন দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার, মেয়ে সানজিদা আক্তারকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে ময়মনসিংহের ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না এবং মেয়ে মারা যান। তবে ট্রাকচাপায় রত্নার পেট ফেটে কন্যাশিশুর জন্ম হয়।