যুক্তরাষ্ট্র এখন আর বিশ্বের মোড়ল নয়: মেরকেল
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৮, ২০২০ , ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল মনে করেন, অপরাপর বিশ্ব এখন আর যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক মোড়ল হিসাবে মনে করে না। তাই নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের অগ্রাধিকার ঠিক করা উচিত। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানসহ একযোগে ইউরোপের ৬টি পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মেরকেল।
তিনি আরও বলেন,‘ আমরা এ কথা জেনে বড় হয়েছি যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের নেতা হতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র যদি এখন নিজের ইচ্ছায় সেই ভূমিকা থেকে সরে আসতে চায় তবে আমাদের বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে।’
মেরকেল হলেন প্রথম জার্মান নেতা যিনি পূর্ব জার্মানির লৌহ কঠিন (কঠোর বিধিনিষেধ) শাসনে মধ্যে বেড়ে উঠেছেন। তাই অতীতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক ভূমিকার সমর্থনে একাধিকবার কথা বলতে দেখা গেছে।
এর আগে ২০০৯ সালে কংগ্রেসে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করে একে ‘অবাধ স্বাধীনতার উপহার’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজের সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।
এমনকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলেও মেরকেল তার সরকারের সামরিক খাতে ব্যয় হ্রাসের সমালোচনা করেছিলেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জার্মান ঘাঁটি থেকে যে সাড়ে ৯ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেছেন, তারও সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর।
গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেরকেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের স্বার্থেই মধ্য ইউরোপে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জার্মানিতে অবস্থানরত আমেরিকান সেনারা কেবল জার্মান এবং ন্যাটোর ইউরোপিয়ান অংশকে রক্ষা করছে এমন নয়, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও রক্ষা করছে।’
জার্মানির সামরিক ব্যয় বাড়ানোর প্রসঙ্গে মেরকেল বলেন, ‘আমরা জার্মানরা জানি, প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের আরও বেশি ব্যয় করতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমরা এই খাতে ব্যয় যথেষ্ট বাড়িয়েছি এবং আমরা আমাদের সামরিক সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সেই পথে এগিয়ে যাব। নিজের এই বক্তব্যের সপক্ষে তিনি চীন ও ভারতের সামরিক শক্তির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
এসময় জার্মানির ওপর রাশিয়ার হুমকির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেরকেল বলেন, ‘রাশিয়ার সাথে গঠনমূলক সংলাপে জড়িত থাকার অনেকগুলো ভালো কারণ রয়েছে। কেননা সিরিয়া এবং লিবিয়াসহ ইউরোপের আশেপাশের দেশগুলিতে রাশিয়ার কৌশলগত প্রভাব উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই আমি রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এমএ/