আজকের দিন তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ: প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ: প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ , ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জ্বালানি ও ব্যাংকিংসহ ইনস্যুরেন্স খাতে যুক্তরাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (এফটিএ) বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস রাউন্ড টেবিলে ভার্চ্যুয়ালি যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দু’দেশের মধ্যকার বর্তমান বার্ষিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্যের পরিমাণকে আরও বৃদ্ধি করতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা অন্যান্য খাতের পাশাপাশি বিশেষত আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, অ্যাগ্রো-প্রোসেসিং (কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ), নীল অর্থনীতি, পর্যটন, জ্ঞান-ভিত্তিক হাই-টেক শিল্পের মতো লাভজনক খাতে বিনিয়োগের জন্য মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, উল্লেখকৃত খাত ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতেও এফডিআই সুবিধা দিতে বাংলাদেশ অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সরবরাহে উন্নয়ন ঘটাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। শেখ হাসিনা আশা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক-মুক্ত প্রবেশ ও অন্যান্য বাণিজ্যিক অগ্রাধিকারে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি অবস্থান থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং রপ্তানির ভিত্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রয়োজন হবে। প্রধানমন্ত্রী এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের জন্য ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ও এর সভাপতি নিশা বিসওয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনের কথা স্মরণ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি শুধুমাত্র আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ২৮টি হাই-টেক পার্কে মার্কিন বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অব্যাহতভাবে আমাদের শারীরিক, আইনি ও আর্থিক অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাচ্ছি। এছাড়া পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেলের মতো বিভিন্ন সড়ক ও রেল যোগাযোগও বৃদ্ধি করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাত সহযোগিতা ও বিনিয়োগের স্বীকৃতি দিচ্ছে। এই সাহায্যের ফলেই আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এখন আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মার্কিন বিনিয়োগ কামনা করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত-বর্ধিঞ্চু আইসিটি খাত এখন ৬০টি দেশে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের আইসিটি পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়। ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের আইসিটি শিল্প পাঁচ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগকারীরা যেন প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতেই দক্ষ জন-সম্পদ পেতে পারেন, সেজন্য আমরা জনশক্তিকে দক্ষ করার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, কভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ এ বছর বাংলাদেশকে এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত জাতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অনেক চলমান প্রকল্প রয়েছে, বিশেষত ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’।