যুক্তরাষ্ট্রে নাইটক্লাবে গুলি, নিহত ৫০
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১২, ২০১৬ , ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////,সারাবিশ্ব,সারাবিশ্ব লীড
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: একদিন যেতে না যেতেই আবারো বন্দুক হামলায় রক্তাক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের অরল্যান্ডো শহর। সমকামীদের একটি নাইটক্লাবে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন।
শুক্রবার রাতে বন্দুক হামলায় গায়িকা ক্রিস্টিনা গ্রিমির নিহত হওয়ার শোক কাটতে না কাটতেই ফের বন্দুকধারীর বর্বরতায় কেঁপে উঠল অরল্যান্ডো শহর। ঝরে গেল ৫০টি জীবন।
গভীর রাতের এ বন্দুক হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে। আশপাশের হাসপাতাল ও ক্লাবগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সমকামীদের বিলাসবহুল ‘পালস নাইটক্লাবে’ ভয়াবহ এ বন্দুক হামলা হয়েছে।
বন্দুক হামলার সময় পালস নাইটক্লাবে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০০ ব্যক্তি, যাদের অধিকাংশই সমকামী। হামলার পর ক্লাবের পক্ষ থেকে তাদের ‘বেরিয়ে যেতে এবং দৌড়ে পালিয়ে যেতে বলা হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলাকারীর কাছে বোমা ছিল। তবে প্রথমে তিনি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। রাত ২টার দিকে হামলাকারী ক্লাবে ঢুকে পড়ে।
হামলার প্রায় চার ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে অরল্যান্ডো পুলিশ তাদের টুইটার পেজে জানায়, ‘পালস বন্দুক হামলা : ক্লাবের মধ্যে হামলাকারী নিহত হয়েছে।’ পুলিশ কর্মকর্তারা এ হামলাকে ‘গণগুলি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ক্লাবে হামলার পর পুলিশ সেখানে একটি ‘নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ’ ঘটায়। তবে কেন পুলিশ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। তা ছাড়া পুলিশের এ বিস্ফোরণেই হামলাকারী বন্দুকধারী নিহত হয়েছে কি না, তাও নিশ্চিত করা হয়নি।
আরেকটি টুইটে অরল্যান্ডো পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি এটি ‘‘গণ-হতাহতের’’ মতো অবস্থা। স্থানীয়/রাজ্য/কেন্দ্রীয় সংস্থা আমাদের সাহায্য করছে। আশা করছি, শিগগিরই গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করতে পারব।’
ধারণা করা হচ্ছে, কমপক্ষে একজন জিম্মিকে বাথরুমে আটকে রাখা হয়েছে এবং গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন। তবে তার শেষ অবস্থা সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও মেডিক্যাল কর্মকর্তাদের দেখা গেছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ টিমের কর্মকর্তা এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যদের দেখা গেছে। ক্লাবের সমানে ডগস্কয়াডও দেখা গেছে।
স্থানীয় টিভি সাংবাদিক মুর তার টুইটার পেজে লিখেছেন, ‘সূত্র থেকে আমি জানতে পেরেছি, হামলকারীর পোশাকের সঙ্গে বোমা ছিল।’
হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন রিকার্ডো আলমোদোভার নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, রাত ২টার দিকে হামলা হয়। নাচের ঘরে এবং বারে যারা ছিলেন, তাদের মেঝেতে পড়ে যেতে দেখি। আমাদের মধ্যে যারা পেছনের দরজার কাছে ছিলেন, তারা কোনোমতে সেখানে থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি।
আলমোদোভার বলেন, ‘আমি বাড়িতে পৌঁছে গেছি এবং নিরাপদে আছি। আশা করি, অন্যরাও আমার মতো বাড়িতে পৌঁছে গেছে এবং নিরাপদে আছেন।’
হামলার সময় নাইটক্লাবে উপস্থিত ছিলেন হুয়ান রিভেরা। নিজের টুইটার পেজে তিনি লিখেছেন, ‘মেঝেতে এত বেশি লাশ পড়ে থাকতে দেখেনি কখনো। সৃষ্টিকর্তা মহান, আমি ও আমার বন্ধুরা কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি।’