রমজানের প্রভাব বাজারে: দাম বাড়ল আলু আদা মুরগির
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৪, ২০১৬ , ২:২৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: পবিত্র রমজানের প্রভাব পড়েছে বাজারে। চিনি, ছোলা, মসুর ডালের পর এবার দাম বেড়েছে আলু, আদা ও ব্রয়লার মুরগির।
শুক্রবার রাজধানীর বাজারে মানভেদে প্রতি কেজিতে আদা ১০ থেকে ৩০ টাকা, আলু ২ থেকে ৫ টাকা ও মুরগির দাম ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে দাম কমার তালিকায় রয়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পবিত্র রমজান শুরু হতে আর মাত্র তিন দিন বাকি । এ সুযোগে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। রমজান শুরুর আগে গতকাল ছিল শুক্রবার, ছুটির দিন। বাজারে তাই অন্যান্য দিনের চেয়ে তুলনামূলক বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, ব্যবসায়ীরা এবার রমজান উপলক্ষে অনেক আগে থেকেই চিনি, ছোলা, মসুর ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। যাতে রমজানের সময় সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়।
রাজধানীর কাওরানবাজার, শান্তিনগর ও নিউমার্কেটসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, আদা ৬০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ যা গত সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ১৮ থেকে ২০ টাকা ও ৫০ থেকে ৯০ টাকা। এ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
কাওরানবাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী আনিছার বলেন, হঠাত্ করে আলুর সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বাড়তি। তবে চাহিদা বাড়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন একই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী এনামুল।
তিনি বলেন, আর কয়েক দিন পরই রমজান। যে কারণে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বলে তিনি জানান।
তবে ক্রেতা আমজাদ কবির বলেন, এবার রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জিম্মি করে ফেলেছে। চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, রসুনসহ প্রায় সবকিছুর দামই বেড়েছে। সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এদিকে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে কাঁচামরিচের। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়। দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা, কাকরোল ও ঝিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শশা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও টমেটো ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি লাউ, চালকুমড়া আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, নেপালি মসুর ডাল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ছোলা ৮৫ থেকে ১০০ টাকা, চিনি ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩২ টাকা, দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, বড় শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও দেশি মাগুর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা ও খাসির মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া প্যাকেটজাত গুঁড়ো দুধের মধ্যে প্রতি কেজি ডানো ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা, ডিপ্লোমা ৫৪০ থেকে ৫৫০ টাকা, ফ্রেশ ও মার্কস ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়।