আজকের দিন তারিখ ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ধর্ম ও জীবন রমজানের স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার

রমজানের স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০১৬ , ৪:০১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: ধর্ম ও জীবন


Ifter-Tকাগজ অনলাইন ডেস্ক: রমজান আত্ম-সংযমের মাস। ইবাদাত-বন্দেগির মাস। বাস্তবে দেখা যায়, মানুষ ইবাদাত-বন্দেগির চেয়ে রুচিসম্মত রকমারি খাবারের আয়োজনেই ব্যস্ত থাকে। যার ফলে রোজার আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে মানুষ ব্যর্থ হয়। রমজানে রকমারি ইফতার আয়োজনে ব্যস্ত না থেকে ইবাদাত-বন্দেগির লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসম্মত সুন্নাতি ইফতার করাই শ্রেয়। যেভাবে ইফতার করতেন বিশ্বনবি; যে ইফতারের রয়েছে সুস্থ থাকার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। যা তুলে ধরা হলো-

ইফতারে ভাজা-পোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সারাদিন উপবাস থাকার ফলে ইফতারের সময় পাকস্থলী ও খাদ্য পরিপাকতন্ত্র অবসর থাকে। ইফতারের সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

রমজানের স্বাস্থ্য সম্মত ইফতার হলো- প্রথমে খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করা অতি উত্তম। এর রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা- রোজা ভাঙতে প্রথমে খেজুর এবং পানি দেহে সুক্রোজ তৈরি করে থাকে। ফলে মুহূর্তে তৃষ্ণা এবং শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এরপর মাগরিবের নামাজ আদায় করা। এ সময়ে পাকস্থলী সারাদিন বসে থাকার পর একটু কাজ পেয়ে সক্রিয় বা কর্মক্ষম হয়ে নেয়। মাগরিব পরবর্তী সময়ে রোজাদার ব্যক্তি রাতের খাবার গ্রহণে পর্যাপ্ত মাছ-মাংস অর্থাৎ আমিষ জাতীয় খাদ্য খেলেও কোনো অসুবিধা নেই।

তাই ইফতারে ভাজা-পোড়া না খেয়ে খেজুর ও পানি খেয়ে ইফতার করা এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করে রাতের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। এতে রোজাদারের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি রোজার আত্মিক-আধ্যাত্মিক প্রাপ্তিও অর্জিত হয়। হাদিসে এসেছে, ‘অতিরিক্ত পানাহার থেকে বিরত থাক। তা না হলে তোমার অন্তরাত্মার মৃত্যু ঘটবে।’ ( মুসলিম) তাই ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মত খাবার গ্রহণ করলে রমজান জুড়ে অত্যন্ত ঝরঝরে ও ফুরফুরে থাকবে রোজাদার।

পরিশেষে…
ইফতারের সময়টি যেহেতু মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত মহামূল্যবান। তাই এ সময়ে বিশ্বনবির ইফতারের অনুসরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অভ্যাস ছিল- শুধু খেজুর আর পানি খেয়ে রোজা ভঙ্গ করা এবং অতঃপর মাগরিবের নামাজ আদায় করা। মাগরিবের নামাজ পড়ে রাতের খাবার খাওয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবির নিয়মে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ইফতার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।