আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ রাজশাহীতে বাড়ছে পদ্মার পানি, শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

রাজশাহীতে বাড়ছে পদ্মার পানি, শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


দিনের শেষে ডেস্ক : রাজশাহীতে চলতি আগস্টের শুরু থেকেই পদ্মার পানি বাড়ছে। এতে শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই হাজার পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র বলছে, উজান থেকে আসা ঢলের কারণে পদ্মায় পানি বেড়েছে, আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাউবো সূত্র জানায়, রামপুর-বোয়ালিয়া, স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৫৯ মিটার। বুধবার সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৭১ সেন্টিমিটার। রাজশাহী পাউবোর হাইড্রোলজি বিভাগের পানি পরিমাপক এনামুল হক বলেন, উজানে ঢলের কারণে পদ্মায় পানি বাড়ছে। আগস্ট মাসজুড়েই পানি এভাবে বাড়তে পারে।
এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে তীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে পানি সেখানকার বাসিন্দাদের বেশকিছু বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। নগরীর রাণীনগর এলাকায় ট্রাস্ট পরিচালিত পাঠশালার মাঠ প্লাবিত হয়েছে। পাঠশালা সংলগ্ন জরিনা বেগমের বাড়িতে এখন কোমরপানি। এছাড়া শহরের ওপারে চর খিদিরপুর এলাকায় পদ্মার ভাঙন চলছে। এলাকার বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে নৌকায় করে এপারে আসছেন। রাজশাহীর বাঘা এবং গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মার ওপারের চর ভাঙছে। নতুন করে গোদাগাড়ীর নিমতলা এলাকায় পদ্মার বামপার ভাঙছে। ওই এলাকায় আগে কখনও ভাঙেনি। এবার ভাঙন দেখে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন হয়েছেন। সম্প্রতি গোদাগাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।
রাজশাহী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রিফাত করিম জানান, রাজশাহী শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। টি-গ্রোয়েন এবং আই বাঁধ ও কেশবপুর এলাকায় বালুর বস্তা ফেলার কাজ শেষ পর্যায়ে। তালাইমারী শহিদ মিনারের যে এলাকায় পানি ঢুকেছে সেখানে প্রতিরক্ষামূলক কিছু করার নেই। পদ্মার ওপারের চর খিদিরপুরেও কিছু করার নেই। তবে বাঘার ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, গোদাগাড়ীর নিমতলায় নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হতে পারে। এখন জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করে এলাকার ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।