রাশিয়ার সৈন্য সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশ পুতিনের
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২৬, ২০২২ , ৩:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া তাদের সেনাবাহিনী আধুনিকায়নের চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীতে আগামী কয়েকমাসে ১ লাখ ৩৭ হাজারের মতো সৈন্য বাড়বে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি, আল-জাজিরা। বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। এছাড়া আরো ৯ লাখ বেসামরিক স্টাফ রয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের জারি করা ডিক্রিতে দেশটির সামরিক বাহিনীতে লোকবলের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫৮ জনে উন্নিত করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সামরিক বাহিনীতে নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়ে সাড়ে ১১ লাখে উন্নিত করা হবে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ডিক্রি এমন এক সময়ে আসলো যখন রাশিয়ায় সামরিক বাহিনীতে জনবল বাড়ানোর জন্য দেশজুড়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।
নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ফেডারেল সরকারের বাজেট থেকে অর্থ বরাদ্দের জন্য বলা হয়েছে। এই ডিক্রির মাধ্যমে সৈন্যদের নগদ অর্থের প্রণোদনাও দেয়া হবে। ২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে। বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে, নিয়োগকারীরা রাশিয়ার বিভিন্ন কারাগার পরিদর্শনে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে তারা কয়েদিদের মুক্তি করা এবং নগদ অর্থের প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে। তবে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা বাড়ানো হবে নাকি সমারিক বাহিনীর জন্য বেসামরিক লোকদের বাধ্যতামূলক ডাকা হবে – সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এসব ব্যাটালিয়ন সামরিক বাহিনীর অংশ হবে। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে স্বেচ্ছাসেবী ব্যাটালিয়ন গঠন করার জন্য পর্যাপ্ত লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার আইন অনুযায়ী এ ধরণের ব্যক্তিদের যুদ্ধে যাবার ক্ষেত্রে চার মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। সে হিসেবে রাশিয়াতে বর্তমানে ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী পুরুষদের সামরিক বাহিনীতে এক বছর কাজ করার জন্য সরকার চাইলে ডাকতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক। তবে কারো যদি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকে কিংবা উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হবার মাধ্যমে যোগ নাও দিতে পারে কিংবা তাদের কাজের মেয়াদ কমিয়ে আনতে পারে।