আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ‘রাশিয়া তালেবানকে টাকা দিয়েছে আমেরিকান সেনাদের হত্যা করতে’

‘রাশিয়া তালেবানকে টাকা দিয়েছে আমেরিকান সেনাদের হত্যা করতে’


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৮, ২০২০ , ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন ও ন্যাটো জোটের সেনাদের হত্যা করতে তালেবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়ার একটি সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট। কিছু অর্থ তালেবান সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের হাতে পৌঁছেছেও। মার্কিন গোয়েন্দাদের বরাতে এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। তবে এই খবর অস্বীকার করেছে রাশিয়া ও তালেবান।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কয়েক মাস আগে এই উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের হত্যা করার বিনিময়ে গত বছর গোপনে তালেবান সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়ান গোয়েন্দা ইউনিট। পৃথকভাবে ওয়াশিংটন পোস্টও একই খবর প্রকাশ করে। কর্মকর্তারা বলছেন, তালেবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই যোদ্ধারা রাশিয়ানদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ পেয়েছেও। তবে এই অর্থের বিনিময়ে মার্কিন বা ন্যাটো সেনাদের হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে, এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও বেনামী।’ টুইটে আরও বলা হয়, এই প্রতিবেদনের কারণে ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন ও লন্ডনে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অস্বীকার করে বলেছেন যে, কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেই তাদের এই ধরণের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেছেন, এই প্রতিবেদন তাদের মানহানি করতে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে এই ধরণের বোঝাপড়া সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের হত্যাকাণ্ড তারও বহু বছর আগ থেকে চালু ছিল। আমরা আমাদের নিজেদের সামর্থ্যে এসব করেছি। তবে আমেরিকানদের সঙ্গে চুক্তির পর সেই অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। তাদের জীবন এখন নিরাপদ। আমরা তাদেরকে আক্রমণ করি না।’

২০১৯ সালে আফগানিস্তানে ২০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশ চুক্তিতে উপনীত হওয়ার পর মার্কিনিদের ওপর তালেবানের হামলা চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।