রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে শ্বাসরূদ্ধকর জয় পেল পাকিস্তান
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১ , ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : ঘরের মাঠে দারুণ ফর্মে আছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় করল বাবর বাহিনী। সেই ফর্মের ধারাবাহিকতা টি-টোয়েন্টিতেও রেখেছে তারা। লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে নিল পাকিস্তান। তবে এ জয় পেতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বাবর আজমদের। বলতে গেলে শ্বাসরূদ্ধকর এক ম্যাচ উপভোগ করেছে ক্রিকেটবিশ্ব। শেষ হাসি ফুটেছে পাক সমর্থকদের মুখে। মাত্র ৩ রানে জিতেছে পাকিস্তান। আর এ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন পাক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্যারিয়ারের ২৭তম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন রিজওয়ান। আর তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৭০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৬ রানে থেমে যায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারেও জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিল দ. আফ্রিকা। তবে মাত্র ৩ রানের জন্য সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ে স্বাদ নিল হেনরিক ক্লাসেনের দল।
বৃহস্পতিবার প্রথমে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবর আজমের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। তবে বিপদ সামলে নেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলি। তবে হায়দার আলি বেশি দূর সঙ্গ দিতে পারেননি রিজওয়ানকে। ১৬ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান। হুসেই তালাতও ১১ বলে ১৫ রান করে শামসির বলে আউট হন। এরপর রিজওয়ানকে সঙ্গ দিতে আসেন ইফতিখার আহমেদ। তার সাজঘরে ফেরার দৃশ্যও চেয়ে চেয়ে দেখেন রিজওয়ান। ৪ রান করেন ইফতিখার। এরপর খুশদিল শাহ ও ফাহিম আশরাফ যথাক্রমে ১২ ও ৪ রান করে আউট হন। কিন্তু অপরপ্রান্ত ধরে রেখে সমানে ব্যাট চালিয়ে গেছেন ওপেনিংয়ে নামা রিজওয়ান। অবশেষে টি-টোয়েন্টির কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা পান রিজওয়ান। ৬৪ বলে ১০৪ রান করেন এই পাকিস্তানি ওপেনার। ৬টি বাউন্ডারি এবং ৭ ছক্কার মারে এ সেঞ্চুরি সাজিয়েছেন তিনি।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে রিজওয়ানের সেঞ্জুরিতে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই প্রোটিয়া ওপেনার দুর্দান্ত ব্যাট করে যাচ্ছিলেন। উদ্বোধনী এ জুটি ৪১ বলে ৫৩ রান করেন। এ সময় ব্রেকথ্রু এনে দেন উসমান কাদির। ২৯ বলে ৪৪ রান করে আউট হন জানিমান মালান। ৫৪ রান করে রানআউট হন রিজা হেন্ডরিক্স। ফের প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন উসমান কাদির। মাত্র ২ রানে জ্যাক স্নিম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান উসমান। এরপর প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের দুই অংকে পৌঁছার পর পরই আউটের খাতায় নাম লিখিয়ে গেছেন। ফাহিম আশরাফ ও হারিস রউফের তোপে একের পর এক ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন। ডেভিড মিলার ৬ , হেনরিক্স ক্লাসেন ১২ ও আন্দিল পেহলুকাইয়ো ১৪ রান করে আউট হন। তবে পাক দলের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও বিজর্ন ফরচুন। দুজনই অপরাজিত থাকলেও দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানে থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ এবং উসমান কাদির নেন ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ।