লিবিয়া উপকূলে বোটডুবি, ১২ অভিবাসী নিখোঁজ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০২০ , ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : প্রায় তিন ডজন অভিবাসী নিয়ে লিবিয়ার উপকূলে একটি বোট ডুবে গেছে। এতে ১২ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারা ডুবে মারা গেছেন। উদ্ধার করা হয়েছে কিছু মানুষকে। ওই বোটে কোনো বাংলাদেশি ছিলেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, এসব অভিবাসীকে নিয়ে অবৈধ উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার কথা ছিল। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মুখপাত্র সাফা মসেহলি বলেছেন, লিবিয়ার উপকূলীয় শহর জাওয়িয়ার কাছে এই বোটডুবি হয়। ওই শহরটি রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার পশ্চিমে। সাফা মসেহলি আরো বলেছেন, নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছে দুটি শিশু। আফ্রিকার দেশ চাদ, নাইজেরিয়া, মিশর ও সুদানের কমপক্ষে ২০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে তুলে দেয়া হয়েছে লিবিয়ার হাতে। তিনি আরো জানিয়েছেন এখন বাকিদের মৃতদেহের অনুসন্ধান চলছে। তিনি আরো জানান, এসব অভিবাসীর কোনো লাইফ জ্যাকেট ছিল না। তাছাড়া তারা যে বোটে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন, তার অবস্থা ছিল নাজুক। ফলে ছেড়ে যাওয়ার অল্প পরেই তা ডুবে যায়। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য সহায়তাকারী নিরপেক্ষ গ্রুপ এলার্ম ফোন বলেছে, অভিবাসীদের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে তারা ফোন পায়। তাতে বলা হয়, ওই বোটটি ভয়াবহতার শিকারে পরিণত হয়েছে। তবে এই গ্রুপটি বলেছে, তারা বোটটির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারে নি। পরে একজন আত্মীয় জানান, সমুদ্রেই মারা গেছেন কমপক্ষে ১৫ অভিবাসী। কমপক্ষে ১৭ জনকে লিবিয়ার কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশটি বিশৃংখল অবস্থার শিকার। তারপর থেকে ভয়াবহ যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য এই দেশটি আফ্রিকা ও আরব অভিবাসীদের জন্য একটি বড় ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। একই ধারায় ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে বহু বাংলাদেশিরও সলিল সমাধি হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। কারণ, ভয়াবহ এই যাত্রা শুরু হয় সরঞ্জামে সজ্জিত নয় এবং রাবারে তৈরি এমন বোট ব্যবহার করে। আইওএম মার্চে বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে এভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকারী অভিবাসীদের মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিবিয়ার বিভিন্ন বাহিনী ও কোস্ট গার্ডদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর উদ্দেশ্য, অভিবাসীদের প্রবাহকে থামিয়ে দেয়া। মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, এ প্রচেষ্টার ফলে অভিবাসীদের জীবন সশস্ত্র গ্রুপগুলোর নৃশংসতার শিকারে পরিণত হচ্ছে অথবা তাদেরকে গাদাগাদি করে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি।