লোক দেখানো গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে সরকার
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৫, ২০২১ , ২:৫৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে ডেস্ক : সরকার লোক দেখানো গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, গত ১ জুলাই কোভেক্স থেকে আসা ফাইজার এবং চীনের উপহার সিনোফার্মের সীমিত টিকা নিয়ে সরকার লোক দেখানো গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। ফাইজারের টিকা শুধুমাত্র ৭টি কেন্দ্রে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরকারের অব্যবস্থার কারণে প্রথম দিনেই ফাইজারের টিকা না পেয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সামনে প্রবাসীরা বিক্ষোভ করেছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ সপ্তাহে প্রাপ্ত সিনোফার্মের ২০ লাখ এবং মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকাসহ এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশে টিকা এসেছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ডোজের বেশি। বর্তমানে দেশে মাত্র ৫০ লাখের ডোজের বেশি টিকার মজুত আছে। অদূর ভবিষ্যতে টিকা সংগ্রহের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের দেশে উল্লেখিত সংখ্যাক টিকা কত অপ্রতুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন মহল দেশের জনগণকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এক মহা বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বাজেট অধিবেশনের সমাপ্তি দিবসে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যত টিকা লাগে, কেনা হবে’। কিন্তু কোথা থেকে ক্রয় করা হবে, কবে নাগাদ ক্রয় করা হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখেন নাই।
ভ্যাকসিন নিয়ে লুকোচুরি ও ভ্যাকসিন সংগ্রহে সরকারের ব্যর্থতার ফলে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা, টিকা সংগ্রহের রোডম্যাপ এবং টিকাদান কর্মসূচির ভবিষ্যত পদক্ষেপ সম্পর্কে সকল তথ্য জনগণের সামনে উপস্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে অতিশীঘ্র টিকা প্রদানের মাধ্যমেই একমাত্র করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে সরকারকে পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং জনগণকে তা অবহিত করতে হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিগত এক সপ্তাহ যাবত করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১০০ এর উপরে এবং শনাক্তের হার প্রায় ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে। সরকার ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এর পূর্বে সরকারের অব্যবস্থা, দায়িত্বহীনতা ও উদাসিনতার কারণে সরকারের লকডাউন তামাশায় পরিণত হয়েছিল।