আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস লীড লড়াই করে হার, শূন্য হাতে বিদায় টাইগারদের

লড়াই করে হার, শূন্য হাতে বিদায় টাইগারদের


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস লীড


স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজ-আফিফের ব্যাটে ভালোই সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়ায় শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার মেন্ডিস-শানাকার দারুণ ব্যাটিং শেষে ফার্নান্দোর ক্যামিও ইনিংসে আর পারল না সাকিবের দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ২ উইকেটের পরাজয়ে সুপার ফোরে ওঠা হলো না বাংলাদেশের। খালি হাতেই দুবাই থেকে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে লড়াই করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। আর এই লড়াইয়ে তারাই জিতেছে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ দলের হয়ে মাঠে নামা সাব্বির রহমান। ৬ বলে ৫ রান করে উইকেট হারান তিনি। শুরুটা দারুণ করলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারলেন না মিরাজ। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্পিনে বোল্ড হন এই ব্যাটার। ২ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। করুণারত্নের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার; ৪ রান নিয়ে ফেরেন সাজঘরে। এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে গড়েন দারুণ এক রেকর্ডও। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৬০০০ রান ও ৪০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন টাইগার অধিনায়ক।

এই রেকর্ড গড়ে অবশ্য বেশিক্ষণ আর থিতু হতে পারেননি সাকিব। মহেশ থিকসানার বল বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। বোল্ড হয়ে হারান উইকেট। এর আগে ২২ বলে ৩ চারে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। ছয়ে নেমে আফিফ হোসাইনের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই দুই ব্যাটার ৩৭ বলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। সপ্তদশ ওভারে এসে জুটি ভাঙেন মধুশাঙ্কা। ২২ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৯ রান করে বিদায় নেন আফিফ। পরের ওভারেই উইকেট হারান মাহমুদউল্লাহ। ২২ বলে ২৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে এসে করুনারত্নের শিকার হন শেখ মাহেদি (১)। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ও তাসকিন আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে ১৮৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ৯ বলে ৪ চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। তাসকিন করেন ৬ বলে অপরাজিত ১১ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন হাসারাঙ্কা ও করুনারত্নে। বাকি বোলাররা নেন একটি করে উইকেট। রান তাড়ায় খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ৩৩ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। ষষ্ঠ ওভারে এসে এই জুটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ১৯ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন নিশাঙ্কা। একই ওভারে চারিথ আসালাঙ্কাকে (১) ফেরান এবাদত। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দানুশকা গুনাথিলাকাও। এবাদতের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ১১ রানে। পরের ওভারেই ২ রান করে আউট হন রাজাপক্ষে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মেন্ডিসকে সঙ্গ দেন দাসুন শানাকা। একপ্রান্ত আগলে রাখা মেন্ডিস ৩২ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। শানাকার সঙ্গে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই মেন্ডিসকে পঞ্চদশ ওভারে বিদায় করে মোস্তাফিজ। ৩৭ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৬০ রান করে বিদায় নেন লঙ্কান ওপেনার। ব্যাটিংয়ে নেমে থিতু হতে পারলেন না ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও। তাসকিনের বলে শেখ মাহেদির হাতে ক্যাচ তুলে ২ রানে ফেরেন তিনি। এরপর দারুণ ব্যাট করতে থাকা শানাকাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে এসে ১০ বলে ১৬ রান করে উইকেট হারান করুনারত্নেও। তবে আসিথা ফার্নান্দোর ৩ বলে ১০ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকেই ৩ উইকেট শিকার করেন এবাদত হোসেন। জোড়া উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ ও মাহেদি।