আজকের দিন তারিখ ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনোদন সন্ধ্যা গেয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়’

সন্ধ্যা গেয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়’


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২ , ৩:১৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন


দিনের শেষে ডেস্ক : সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে, সেই সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য সহায়তা করতে দেখা গিয়েছিল প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীকে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যেমন গান রেকর্ড করে দিয়েছিলেন তিনি, আবার শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে তিনি গেয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়’ গানটি। ১৯৭২ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও গীতিকার আবিদুর রহমানের কথায় সংগীতজ্ঞ সুধীন দাশগুপ্তের সুরে এই ঐতিহাসিক গানটি সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার শত শত গান দুই বাংলার কোটি মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরলেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গাওয়া গানটি গেয়ে আজীবনের জন্য তিনি জায়গা করে নেন বাংলাদেশের হৃদয়ের মণিকোঠায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মাইলফলক এ গানটি আজও বাজে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। সেই ছোটবেলায় গীতশ্রী সম্মান পাওয়ার পর থেকে বহু সম্মান পেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সেরা নারী প্লেব্যাক সিঙ্গার যেমন হয়েছেন, তেমনই ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে দিয়েছে বঙ্গ বিভূষণ সম্মান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অনুরোধেই একটি সরকারি অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বহু বছর পরে জনসমক্ষে গান গেয়েছিলেন। অবশ্য ভারত সরকারের পদ্ম সম্মান কোনও দিন পান নি তিনি – এবছর যদিও তাকে পদ্মশ্রী দিতে চেয়েছিল ভারত সরকার, তবে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বাংলা গানের জগতের কিংবদন্তী শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। মিসেস মুখোপাধ্যায় ২৭শে জানুয়ারি থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তার কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে, যদিও কোভিডমুক্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এর পরে তার একটি অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তবে সোমবার রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, সিনেমার প্লেব্যাক গানের পাশাপাশি রবীন্দ্র সঙ্গীত আর নজরুল গীতি, পুরাতনী গানেও সমান দক্ষতার সঙ্গে বাঙালীর মন জয় করে গেছেন। তার গাওয়া ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার’ বা ‘চন্দন পালংকে শুয়ে একা একা কী হবে’ বা ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ – এমন সব গান বাংলা আধুনিক গানের ইতিহাসে মাইল ফলক হয়ে থাকবে। যদিও শুধু কোনও একটা দিন নয় – সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ৯০ বছরের প্রায় গোটা জীবনটাই ছিল গানের। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম সঙ্গীত শিক্ষা তার বাবার কাছেই। ১৪ বছর যখন তার বয়স, তখন একটি গানের পরীক্ষা হত, যার নাম ছিল গীতশ্রী। সেই পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নামের আগে তখন থেকেই গীতশ্রী পদবী জুড়ে গিয়েছিল। এর পরেই তিনি শুরু করেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রে নেপথ্য গান। তবে তার প্রথাগত সঙ্গীত শিক্ষা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে – উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খায়ের কাছে রীতিমতো নাড়া বেঁধে। উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁয়ের মৃত্যুর পরে তার ছেলে মুনাব্বর আলি খাঁয়ের কাছে শিক্ষা নিয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। যদিও তার আগেই শচীন দেব বর্মনের নজরে পড়ে গিয়ে মুম্বাই গিয়েও হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক গাইতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েক বছরের জন্য।