পাড় ভাঙছে পদ্মা, ঝুঁকিতে ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মায় তীব্র ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রতিষ্ঠান ৩টি হচ্ছে- চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিয়াডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক এবং চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, গত কয়েকদিনের ভাঙনের ফলে কাঁচা রাস্তাসহ প্রায় ৪০ শতাংশ জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙতে ভাঙতে স্কুল ও ক্লিনিকের মাত্র ১০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে। ভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আশেপাশের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৮ সালের বন্যার পর বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। পরে ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি বর্তমান জায়গায় আনা হয় ও দ্বিতল একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে।
এদিকে পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই স্কুলের ৪০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে পদ্মা নদী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে স্থাপন করা হয়। ১৯৯৭ সালের ভাঙনে সে স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। পরে বর্তমানের জায়গায় চারচালা একটি টিনের ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সে স্থাপনাও এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, সাত দিন আগে বিদ্যালয়সংলগ্ন ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছি আমরা।
বালিয়াডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিকের নুতন একতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। ওই ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার খালেদা আক্তার বলেন, ভাঙন এখন ক্লিনিকের খুব কাছে চলে এসেছে। এ অবস্থায় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ক্লিনিকটি বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, বালিয়াডাঙ্গী, ফাজেলখারডাঙ্গী ও সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে ডাম্পিংয়ের জন্য ১৫ হাজার ৮৯৪টি জিও ব্যাগ বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে ফাজেলখারডাঙ্গীতে ৫ হাজার ১৩টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গীতেও বালুর বস্তা ফেলা হবে। এখানে পাঁচ হাজার বস্তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।