সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০১৬ , ৬:৩৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। দুস্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটাতে পারে, সেজন্য দেশের সব থানায় এলাকায় নিয়মিত তল্লাশি এবং সন্দেহভাজন লোকদের গতিবিধির প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে একাদশ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নূরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা জানান। বিকেলে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে সরকার আন্তরিক ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকার পুলিশ বাহিনীর জনবল বৃদ্ধিসহ পরিবহণ ও অন্যান্য লজিস্টিকস বৃদ্ধি করেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্ব আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিতভাবে পুলিশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও জানান, দুস্কৃতকারীরা যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে, সেজন্য দেশের সব থানা এলাকার মেস, ভাড়া ঘর, আবাসিক হোটেল ও বাসস্ট্যান্ডসমূহে নিয়মিত তল্লাশি ও সন্দেহভাজন লোকদের গতিবিধির প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। সেইসঙ্গে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দুইদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যায়ে আলোচনা হয়ে থাকে। ভারতের সরকার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে। ইতোমধ্যে বিসিএফ প্রাণঘাতী মারণাস্ত্র ব্যবহারের পরিবর্তে নন-লেথাল উইপন (অস্ত্র) ব্যবহার করছে।
মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৬ সালে যেখানে সীমান্তে ১০৬ বাংলাদেশি নিহত হয়েছিল, ২০১৫ সালে তা নেমে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের ২৯ মে পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৮ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যানটি পর্যালোচনা করলে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড পূর্বের তুলনায় ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে তা আরও হ্রাস পাবে।
জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে মাদক অপরাধের প্রকৃতির ভিত্তিতে কঠোর হতে কঠোরতর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে লালন করে কাজ করে যাচ্ছেন। সীমান্ত এলাকা এবং অধিক মাদকপ্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।