আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি সরকারের একলা চলো নীতির কারণেই করোনা ঝুঁকিতে জনগণ

সরকারের একলা চলো নীতির কারণেই করোনা ঝুঁকিতে জনগণ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৫, ২০২০ , ৩:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে প্রতিবেদক : সরকারের একলা চলোরে নীতির কারণেই জনগণ করোনাভাইরাসের ‘প্রচণ্ড ঝুঁকি’র মধ্যে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিএনপি আয়োজিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে গুম-খুন হওয়া এবং নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ঈদ উপহার প্রদানে অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা বলেন, করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করবার জন্য যে সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়ার কথা ছিলো সেই উদ্যোগ নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এককথায় তারা (সরকার) করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করতে গিয়ে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সেই একলা চলো নীতি তাদের সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থার যে নীতি, সেই নীতির কারণেই আজকে জনগণ প্রচণ্ড রকমের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে যে, সত্য কথাটি আমরা জানতে পারছি না, ইনফরমেশনগুলো আমরা পাচ্ছি না। যে কথাগুলো সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাস্তবতার কতটুকু মিল আছে তা সম্পর্কে সকল জনগণের মধ্যে ইতিমধ্যে প্রশ্ন এসে গেছে। তিনি বলেন, আমরা দেখছি যে, করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করার জন্য এই সরকারের আন্তরিক হয়ে যেভাবে এগিয়ে আসার কথা ছিলো সেটা তারা আসতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা প্রথম থেকে লক্ষ্য করেছি যে, তাদের মধ্যে প্রচণ্ড রকমের উদাসীনতা ছিলো, অবহেলা ছিলো। যেটা রিজভী সাহেব বলেছেন যে, তারা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলো। আমরা জানি কী কাজে ব্যস্ত ছিলো। তারা এটাকে প্রথম দিকে গুরুত্ব দেয়নি। যখন ঘাড়ের মধ্যে এসে পড়ে গেছে তখন এটাকে সামাল দেওয়ার মতো শক্তি তাদের ছিলো না। ফখরুল বলেন, আজকে করোনাভাইরাসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তাদের যে শাসনব্যবস্থা সেটা কতটা ভঙ্গুর। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আছে বলেই মনে করা যায় না। সাধারণ রোগীরা যাদের ক্যান্সার হয়েছে, যাদের হয়ত লাঞ্চ ক্যান্সার বা টিবি আছে বা যাদের এপেন্ডিসাইটিস রয়েছে তারা কোনো চিকিৎসা পায় না। এটা বাস্তবতার কথা বলছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ দলের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা করোনা সংক্রামণ শুরু হওয়ার আগেই জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিফলেট বিলি করেছি, মাস্ক বিতরণ করেছি। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাব চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য পিপিই দিয়েছি, হটলাইন চালু করেছে রোগীর পরামর্শ দেয়ার জন্য। আমরা ৮৭ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম এটা বিবেচনা করা হোক। তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তথ্য মন্ত্রী সাহেব আমাদেরকে গালিগালাজ করেছেন এবং বলেছেন যে, আমরা নাকী শুধুমাত্র কথাই বলছি, আমরা কোনো কাজ করছি না।আমরা বিরোধী দল হিসেবে ১২/১৩ বছর তাদের নির্যাতনের পরেও আমরা যে কাজটুকু করেছি আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে, আমরা তাদের দল থেকে অনেক বেশি কাজ করেছি। ইতিমধ্যে আমরা ৭ লাখ পরিবারের কাছে আমরা ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিনই আমাদের এই সংখ্যা বাড়ছে এবং এটা আরো বাড়বে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সারাদেশে গুম-খুন-নির্যাতনে নিহত সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর পরিবারের কাছে এই উপহার পৌঁছিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, ইশরাক হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আতিকুর রহমান রুমন, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসীন আলী, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, নাজমুল হাসান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের নিহত তিন পরিবার যথাক্রমে নুর আলম, নুরজ্জামান, ও মাহবুবুর রহমান বাপ্পীর পরিবারের হাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঈদ উপহার তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।