সাকিব নেই তাই টেস্টে ঘাটতি দেখছেন সুজন
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২৯, ২০২২ , ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
স্পোটর্স রিপোর্টার : দক্ষিণ আফ্রিকায় সাকিব আল হাসান সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে পারছেন না। দলে থাকলেও পরিবারের পাঁচ সদস্য হাসপাতালে থাকায় তিনি ফিরে এসেছেন দেশে। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়। বিশ্ব কাঁপানো অলরাউন্ডার দলে থাকলে একজন বাড়তি ব্যাটার বা বাড়তি স্পিনার পায় টাইগাররা। টেস্টের কম্বিনেশন অটুট রাখতে গেলে ডারবানে এক স্পিনার নিয়ে খেলতে হবে। আবার একজন ব্যাটার তখন কমে যাবে একাদশ থেকে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, ব্যাটারের সংখ্যা কমিয়ে খেলতে নামার মত দল এখনও হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশ। ৩১শে মার্চ ডারবানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লাল বলের লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশের। সাকিব না থাকায় ঘাটতি দেখছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘এখনও কম্বিনেশন ঠিক করিনি। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের ভাবনা তো আছেই। সঙ্গে আরেকজন বোলার যুক্ত করা যায় কি না সেই ভাবনাও আছে। হয়তো ব্যাটিং একটু দুর্বল হবে। যেকোনো টেস্ট দলের প্রথম ব্যাটারদের গড় ৪০’র চেয়ে বেশি। আমাদের যখন এরকম হবে তখন হয়তো এই সাহসগুলো আরও বেশি দেখাতে পারবো। এখন একটু কঠিন হবে। উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। তবে আমি মনে করি, আমাদের পেসাররা যেভাবে বল করছে, তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে আমরা ভালো করতে পারবো।’
ডারবানের পরিসংখ্যান বিচারে স্পিনেই বেশি ভরসা রাখতে হবে। কারণ এই ভেন্যুতে স্পিনাররা সুবিধা পান-এমন ধারণা অনেক দিন ধরেই। তবে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট এখন দারুণ ফর্মে। এশিয়ার বাইরেও পেসাররা নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন। গত জানুয়ারির মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টই এর বড় উদাহরণ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ইতিহাস রচনায় পেসাদের ভূমিকা ছিল অনন্য। ডারবানে স্পিন বাড়তি সহায়তা দিলে কি তা বেকায়দায় ফেলবে বাংলাদেশকে? সাকিব আল হাসান না থাকাতেই এমন প্রশ্ন উঠছে। সাকিবকে ছাড়া কেমন হবে টিম কম্বিশেন! এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে কেমন উইকেট ছিল আর আমাদের বিপক্ষে কেমন উইকেট দিচ্ছে এটা কিন্তু বড় ব্যাপার। পরিসংখ্যানের ওপর আমাদের একটু বিশ্বাস রাখতেই হয়। কিন্তু পরিসংখ্যান সবসময় এক থাকে না। উইকেটের চাহিদা অনুযায়ী একাদশ হবে। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, পুরো দলকেই ভালো খেলতে হবে। একা ভালো খেললে হবে না। সবাই তাদের কাজ ঠিকমত করলে সহজ হয়ে যাবে। ওয়ানডেতে তাই ছিল।’ ফর্ম নিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। শেষ ওয়ানডেতে খেলেছেন ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ব্যাটিং ইউনিটে আশার প্রদীপ হতে পারে তিনি। চোট কাটিয়ে টেস্টে ফেরার অপেক্ষায় থাকা তামিমকে নিয়ে মাঠে নামলে একাদশ নিয়ে দুর্ভাবনা কমে যাবে। তার মতো অভিজ্ঞ একজনের উপস্থিতি দলের জন্যও প্রেরণাদায়ক। এই সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে সুজন বলেন, ‘তামিমের ফেরা অনেক বড় ব্যাপার। এ রকম অভিজ্ঞ ও সিনিয়র খেলোয়াড় দলে থাকা সবসময়ই ভালো। তামিম রান করলে আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আমি আশা, করি তামিম ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা অন্যদের চেয়ে মুশফিক-তামিমেরই বেশি।’ জিততে হলে টেস্টের মত ফরম্যাটেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা জরুরি। তবে ঠিক রাখতে হয় দুর্গটাও! সুজন সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, ‘টেস্টে আমরা অ্যাটাকিং ক্রিকেটই খেলবো। আগ্রাসী থাকবো, তবে ডিফেন্সিভ থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। ডিফেন্সটাও ঠিক রাখতে হবে। নিজের দুর্গ ঠিক রেখে শত্রুকে আক্রমণ করতে হবে।’
সাকিবকে না পেলেও সুজন অবশ্য উদ্বিগ্ন নন। সুজনের ভাষায়, ‘সাকিব না থাকলে কম্বিনেশনে বড় সমস্যা হয়, এটা সত্যি। সাকিবকে খুব প্রয়োজন ছিল। দুর্ভাগ্যবশত পারিবারিক সংকটের কারণে দেশে ফিরতে হয়েছে। তারপরও, আমরা নিউজিল্যান্ডে সাকিবকে ছাড়াই খেলেছি।’