আজকের দিন তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব সুপ্রিমকোর্টে হামলা: ব্রাজিলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আটক

সুপ্রিমকোর্টে হামলা: ব্রাজিলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আটক


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ২:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিমকোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটির সাবেক বিচার ও জননিরাপত্তামন্ত্রী অ্যান্ডারসন টরেসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে দেশটির রাজধানীতে সরকারি ভবনগুলোতে আক্রমণের সময় ব্রাসিলিয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।  শনিবার নিরাপত্তাব্যবস্থায় ‘ফাঁক’ রাখা এবং হামলায় ‘যোগসাজশ’ রয়েছে— এমন সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সদ্য অবসার নেওয়া প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিচারমন্ত্রী ছিলেন অ্যান্ডারসন টরেস। ফ্লোরিডায় ছুটি কাটিয়ে ব্রাজিলে ফিরে আসার পর শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর জাইর বলসোনারোও একই মার্কিন অঙ্গরাজ্যে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার ব্রাজিলের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস সাবেক মন্ত্রী টরেসকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। টরেসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ঠিক কী তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার না হলেও মোরেস তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তাব্যবস্থায় ‘ফাঁক’ রাখা এবং হামলায় ‘যোগসাজশের’ কথা উল্লেখ করেন। ব্রাজিলের নতুন বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো বলেন, কর্তৃপক্ষ টরেসকে ব্রাজিলে ফিরে আসার জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দেবে, অন্যথায় তাকে প্রত্যর্পণের মুখোমুখি হতে হবে। তবে বিচারপতি মোরেসের আটক আদেশের বিষয়ে জানার পর টরেস গত মঙ্গলবার টুইটারে বলেন, তিনি তার ছুটি বাতিল করছেন এবং নিজেকে হস্তান্তর করতে ব্রাজিলে ফিরে আসবেন। এর পর শনিবার তাকে আটক করা হলো। জাইর বলসোনারো গত বছরের অক্টোবরের নির্বাচনে পরাজয়ের পর বারবারই সেই ফল মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নতুন সরকারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরিবর্তে দেশত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। এর পর ক্ষমতার লড়াই ঘিরে গত রোববার যেন বিক্ষোভের আগুনে বিস্ফোরিত হয় ব্রাজিল। আর এতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সমর্থকরা হামলা চালায় দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিমকোর্টে।