আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব লীড সেলফি তোলার পর আগ্নেয়গিরির গর্তে পড়লেন পর্যটক!

সেলফি তোলার পর আগ্নেয়গিরির গর্তে পড়লেন পর্যটক!


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব লীড


দিনের শেষে ডেস্ক : ইতালির ক্যাম্পানিয়ার নেপলস উপসাগরে অবস্থিত মাউন্ট ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরির গর্তে পড়ে গেছেন এক মার্কিন পর্যটক। দ্য গার্ডিয়ান এ খবর দেয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে কবে, কখন ওই ব্যক্তি গর্তে পড়েন, সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।
খবরে বলা হয়েছে, পর্বতটিতে ওঠার পর নিজের ফোনে সেলফি তুলছিলেন ওই পর্যটক। হঠাৎ তার হাত থেকে ফোনটি পড়ে যায়। সেটিতে তোলার জন্য খাদের অগ্রভাগে এগিয়ে যান ২৩ বয়র বয়সী ওই পর্যটক। এ সময় ভারসাম্য হারিয়ে তিনি গর্তে পড়ে যান। গর্তের কয়েক মিটার নিচে পড়ে কিছুটা আহত হন তিনি। তার হাত ও পিঠে আঘাত লাগে। গার্ডিয়ান আরও জানায়, মার্কিন ওই পর্যটক ও তার পরিবার মাউন্ট ভিসুভিয়াসের বাঁক পেরিয়ে সীমার বাইরের পথ ধরে এগিয়ে উপরের দিকে উঠে গিয়েছিলেন। পরে তারা নেপলসের ওপর আগ্নেয়গিরির ১ হাজার ২৮১ মিটার উপড়ে চূড়ায় পৌঁছে যান তারা। এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাটি ঘটে।

গর্তে পড়ার পর ওই পর্যটককে উদ্ধারে তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করে ভিসুভিয়াসের গাইডরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পর্যটককে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টারও নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ওই পর্যটক চিকিৎসাধীন।

এদিকে, সরকারি জমিতে অবৈধ প্রবেশের দায়ে ওই পর্যটক ও তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কারণ, তারা কোনো অনুমোদন ছাড়াই পর্বতে চড়েছিলেন। অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ায় মাউন্ট ভিসুভিয়াসের একটি নির্দিষ্ট সীমানা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পর্যটক ও তার পরিবার সেদিক দিয়েই ওঠার চেষ্টা করছিলেন। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ১১ বছর বয়সী এক কিশোর ও তার বাবা-মা নেপলসের পশ্চিমে ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেই এলাকায় সোলফাতারা ডি পোজুলি আগ্নেয়গিরির গর্তে পড়ে মারা যায়। খবরে বলা হয়, ওই কিশোর গর্তে পড়ার আগে গ্যাসের কারণে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তার বাবা-মা তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও গর্তে পড়েন। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। ভিসুভিয়াসর অগ্ন্যুৎপাতের কারণে খৃষ্টপূর্ব ৭৯ সালে রোমান শহর পম্পেই ও হারকুলানিয়াম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সে সময় পর্বতটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক আগ্নেয়গিরির একটি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান