হারারে টেস্ট জয়ে অন্য প্রাপ্তিও দেখছেন মুমিনুল
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৩, ২০২১ , ১২:১১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা হবে পাকিস্তানকে দিয়ে। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে মুমিনুলরা খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিশনের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২০ রানের জয়টি দলকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিল না। নভেম্বর থেকে শুরু হবে নতুন মিশন। পাকিস্তান ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ওই লড়াইয়ে খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই জয়টি বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মুমিনুল, ‘এই টেস্ট আমাদের উজ্জীবিত করবে, আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। সবার ভেতরে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। যে যার ভূমিকা বুঝতে পারবে।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে নিজের ভাবনা জানাতে গিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘পরিকল্পনা তো অবশ্যই আছে। এখন ছোট ছোট যে কাজগুলো আগের টেস্টে করতে পারিনি, সেগুলো করার চেষ্টা করতে হবে। উন্নতির চেষ্টা করবো। বড় পরিকল্পনা না করে ছোট ছোট উন্নতি করতে পারি আমরা।’ দলের সবার ফিটনেস সচেতনতায় মুগ্ধ বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, ‘বাংলাদেশ দল ফিটনেসের দিক থেকে অনেক বদলে গেছে। সবাই ফিটনেসের ব্যাপারে খুবই সচেতন। হয়তো এখানে আসার আগে কেউ লাল বলে খেলেনি। তবে সবাই টি-টোয়েন্টিতে কমবেশি রান করেছে। কিছুটা আত্মবিশ্বাস তো সেখান থেকে পাওয়াই যায়।’
বাংলাদেশ আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে, এরপর ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দেবে সাকিব-তামিমরা। কয়েক মাসের বিশ্রামের পর মার্চ-এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবে। ওই সফর শেষে জুলাই-আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবে তারা। এরপর নভেম্বরে দেশের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ করেছে বাংলাদেশ। করোনার কারণে বেশ কিছু সিরিজ বাতিল হয়েছে। সেই সব অবশ্য নতুন করে আয়োজন করার কোনও সুযোগ আর নেই। প্রথম আসরে ৭ টেস্ট খেলে প্রাপ্তি ছিল একটি ড্র ম্যাচ থেকে মাত্র ২০ পয়েন্ট।