হুমকিতে দেশের সব নদ-নদী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০ , ১২:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : একে তো বছরের পর বছর ধরে চলছে দখল আর দূষণ, এর সাথে বাড়ছে ভাঙন ও চরম নাব্য সংকট। ফলে দিন দিন হুমকিতে পড়ছে দেশের সব নদ-নদী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী বাঁচাতে হলে দখল দূষণ বন্ধের পাশাপাশি নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, উজান থেকে নেমে আসা পানির ৯৩ শতাংশই মধ্যাঞ্চলের মাত্র ৭ ভাগ নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙন ও নাব্য সংকট বাড়ছে। স্থায়ীভাবে নদী রক্ষায় সরকার মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছে বলেও জানায় তারা। ঢাকাকে ঘিরে বহমান বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীতে কত শত পরিবেশ ধ্বংস করা স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ লাইন রয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই কারো কাছে। এসব লাইন থেকে নেমে আসা তরল বর্জ্যে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত হয়ে উঠছে নদীর পানি।
দূষণের পাশাপাশি দেশব্যাপী স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রতিনিয়ত দখল করছে নদীর জায়গা। ফলে দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে প্রশস্ত নদগুলো। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিরূপ আচরণ করছে প্রকৃতিও। উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ভাঙনের পাশাপাশি পলি পড়ে গতি প্রকৃতি হারাচ্ছে মধ্যঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নদ নদী। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলছেন, নদীর মালিক রাষ্ট্র কঠোর না হওয়াতেই খেসারতের পরিমাণ বাড়ছে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, দূষণ তো আর নদী নিজে করে না, এটা মানুষ করে। সব বর্জ্য এখানে এনে ফেলানো হয়।
নদী রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত থেকে নেমে আসা পানির পলি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায় তা নিয়ে গবেষণা চলছে। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, শুরুতে আমাদের চারপাশের নদীগুলো নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ভারত, নেপাল, চীনে বৃষ্টি হলেই ৯০ ভাগ আমাদের এই নদীর ওপর দিয়েই চলে। ২০২১ সালের ডেলটা প্ল্যান হলে এসব থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন ছাড়া স্থায়ীভাবে নদী রক্ষা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তারা।