আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য ১৬ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে বিপিসি

১৬ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে বিপিসি


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ , ৪:০৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাদের অঙ্গ সংগঠন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) এর জন্য ১৬ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। ইআরএল-এ ২টি গ্রেডের (মারবান ও এরাবিয়ান লাইট ক্রুড) ক্রুড অয়েল প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। বিপিসি আবুধাবী থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন মারবান এবং সৌদি আরব থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন এরাবিয়ান লাইট ক্রুড (এএলসি) অয়েল আমদানি করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরাবিয়ান লাইট ক্রুড (এএলসি) সরবরাহের বিষয়ে ১৯৯৪ সালে সৌদি আরব ও বিপিসির মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এ চুক্তি নবায়ন অংশে উল্লেখ আছে- কোনো পক্ষ কর্তৃক চুক্তি সমাপ্তির ৬০ দিন আগে চুক্তি বাতিলের বিষয়ে লিখিতভাবে অবহিত না করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী এক বছরের জন্য নবায়ন হয়ে যাবে। সে অনুযায়ী অব্যাহতভাবে চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে এরাবিয়ান লাইট ক্রুড আমদানি করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) আবুধাবি ও বিপিসির মধ্যে বিদ্যমান চুক্তি প্রতি পঞ্জিকাবর্ষের জন্য নবায়ন করা হয়। ২০২২ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেষে হবে। ২০২৩ সালের জন্য এডিএনওসি, আবুধাবীর সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে বিপিসির সম্মতি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এডিএনওসি থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল কোম্পানি থেকে চুক্তিতে উল্লেখিত নিয়মে দাম পরিশোধের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহের ঘাটতি, দামের অস্থিতিশীলতা ও তেলবাহী জাহাজের স্বল্পতা রয়েছে। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববাজারে সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের দাম ও জাহাজ ভাড়া দফায় দফায় বাড়ছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড থেকে পাঠানো চাহিদা অনুযায়ী ২০২৩ সালে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েলের দাম প্রাক্কলনের লক্ষ্যে

২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময় পর্যন্ত আমদানি করা ক্রুড অয়েলের গড় ফ্রি অন বোড (এফওবি) দাম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ’র মাধ্যমে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল পরিবহনে জাহাজ ভাড়া, লাইটেজ খরচ এবং জাহাজ ভাড়ার ওপর বিএসসি’র ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ ২০২৩ সালের জন্য আমদানিয় ক্রুড অয়েলের ব্যারেল প্রতি প্রাক্কলিত এএলসি’র প্রতি ব্যালের দাম অনুমিত ধরা হয়েছে ১১৮ দশমিক ৯২ ডলার এবং মারবানের প্রতি ব্যারেলের অনুমিত দাম ধরা হয়েছে ১০৪ দশমিক ৪৩ ডলার। এ অবস্থায় সৌদি আরব থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন এএলসি আমদনি করতে ব্যয় হবে ৮,৩৯২ দশমিক ৮৩০ টাকা এবং আবুধাবী থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন মারবার আমদানিতে ব্যয় হবে ৫,৯৬৬ দশমিক ৩৪৫ কোটি টাকা। ১৬ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১৪,৩৫৯ দশমিক ১৭৫ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)’র ঋণ, বিপিসির বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে নগদ এবং ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবিত মারবান ক্রড অয়েল এবং এরাবিয়ান লাইট ক্রুড আমদানির অর্থায়ন করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম ও জাহাজ ভাড়া কম বা বেশি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য মানে কম বা বেশির ফলে নিরূপিত আমদানি দামও কম-বেশি হতে পারে। প্রস্তাবিত ক্রুড অয়েল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক ও ভ্যাট বিপিসি’র নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।