৪৬ কেজি লাগেজ আনতে পারবেন হাজিরা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০১৬ , ৯:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: বিমানে হাজিদের বহনকৃত লাগেজের ওজন হবে সর্বোচ্চ ৪৬ কেজি। এর ঊর্ধ্বের লাগেজ আনা যাবে না। ফলে হাজিরা এবার ৪৬ কেজির বেশি ওজনের লাগেজ আনতে পারবেন না।
সচিবালয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে হজের প্রস্তুতি বিষয়ে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ বহন না করতে সৌদি সরকারেরও নির্দেশনা রয়েছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘একটি বিষয়ে আমরা এবার দৃঢ় থাকতে চাই। হাজিরা যে লাগেজ আনবেন এর ওজন হবে ৪৬ কেজি (সর্বোচ্চ)। তারা দুটি লাগেজ বহন করতে পারবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সৌদি সরকার জানিয়েছে এবার তারা কোনো বাড়তি ওজনের লাগেজ অ্যালাউ করবে না। হজযাত্রীদের অনুরোধ করব তারা যেন বাড়তি ওজনের লাগেজ এবং একাধিক লাগেজ নিয়ে যাতে না আসেন।’
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের যে প্রকোপ রয়েছে, তাতে বিমানপথে এর সম্ভাবনা বেশি থাকায় এখন চেক-ইন বেড়ে গেছে, আমাদের চেক-ইন করা ছাড়া কোনো পথ নেই। তাই লাগেজের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
মেনন জানান, এবার সংক্ষিপ্ত হজ প্যাকেজ থাকছে না। সৌদি সরকারের শর্তানুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার হজ গমনেচ্ছুদের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিমান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল, সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এহসানুল গণি চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ, সৌদি এয়ারলাইন্সের নির্বাহী ওমর খাইয়াম, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) এর মহাসচিব আসলাম খান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হার) এর সভাপতি ইব্রাহিম বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার মানুষ হজে যেতে পারবেন।
মন্ত্রিসভা গত ১১ জানুয়ারি যে হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, তাতে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরবানিসহ প্যাকেজে ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা এবং কোরবানি ছাড়া প্যাকেজে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা খরচ হবে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মূল খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪১ টাকা। এর সঙ্গে খাওয়া-বাড়ি ভাড়া যোগ করে এজেন্টরা প্যাকেজ ঠিক করবে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) হজ হওয়ার কথা রয়েছে।