৬০ দিনের অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২২, ২০২০ , ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনেরে শেষে ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার নতুন অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা ৬০ দিন স্থায়ী হবে। এটা তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যারা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গ্রিন কার্ডের আবেদন করেছেন। এর আগে সোমবার রাতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের অভিবাসন সাময়িকভাবে বাতিলের আদেশে সই করবেন বলে জানিয়েছিলেন। সোমবার রাতে এক টুইট পোস্টে তিনি বলেন, ‘অদৃশ্য শত্রুর হামলার প্রেক্ষাপটে, আমাদের মহান আমেরিকান নাগরিকদের কর্মসংস্থার সুরক্ষার স্বার্থে, যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ীভাবে অভিবাসন বাতিলের নির্বাহী সই করবো আমি। পরে জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বেকার হয়ে পড়া আমেরিকানরা যাতে ফের কাজে ফিরতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই তিনি উদ্যোগ নিচ্ছেন। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্ভবত তিনি আজ বুধবার এই আদেশে সই করবেন বলে জানা গেছে। ট্রাম্প বলেন, যারা অস্থায়ী ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর করা হবে না। আর ৬০ দিন পেরিয়ে গেলে তা পুনর্মুল্যায়ন কিংবা নবায়ন করা হতে পারে। হোয়াইট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, ভাইরাসের কারণে যেসব আমেরিকান চাকরিচ্যুত বা কর্মহীন হয়েছেন, তাদের জায়গায় শ্রমিক হিসেবে বিদেশ থেকে আসা নতুন অভিবাসীদের নিয়োগ দিলে সেটা হবে অন্যায় ও ভুল। সবার আগে আমেরিকান শ্রমিকদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এমন এক সময় তিনি এই অভিবাসন স্থগিত করার আদেশে সই করতে চলেছেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে আরও ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত খাতে নজিরবিহীন লড়াইয়ে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটি। করোনা ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে অচল হয়ে পড়েছে মার্কিন অর্থনীতির চাকা। ফলে আগামী পহেলা মে নাগাদ কমপক্ষে ৯টি অঙ্গরাজ্যের ওপর থেকে লকডাউন তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও এ নিয়ে নিউইয়র্কসহ দেশের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্যগুলোর গভর্নরদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারা বলছেন, লকডাউন তোলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট তাদের ওপর কোনওরকম বল প্রয়োগ করতে পারেন না। তারা রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিজেরাই লকডাউন তুলে নেবেন। এদিকে করোনা ঠেকাতে কানাডা ও মেক্সিকোর সাথে মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে যক্তরাষ্ট্র। ইউরোপ ও চীনের সঙ্গেও বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের যাতায়াত।